প্রকাশিত: Thu, Mar 2, 2023 5:41 PM
আপডেট: Wed, Jun 25, 2025 9:18 AM

নয়াদিল্লিতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সালেহ্ বিপ্লব: ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে জি-২০ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুদিনের বৈঠক। বাংলাদেশ বিশে^র এই শক্তিশালী অর্থনৈতিক জোটের সদস্য না হলেও বর্তমান সভাপতি ভারতের আমন্ত্রণে আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবে। শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখেই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। 

বাসস জানায়, বৈঠকের প্রথম দিনে দেওয়া বক্তৃতায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ অবস্থানের কারণে আমাদের দেশসহ এই অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেছে। এই জনগোষ্ঠী মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদীদের টার্গেট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনতিবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তিনি জি-২০ জোটসহ বিশ^নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে মোমেন এও বলেন, বিপন্ন মানবতার জন্য বাংলাদেশ সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে। 

মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শংকর। শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়। সম্মেলনে জি-২০ জোটের ১৯ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ১৩ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশসহ আমন্ত্রিত দেশগুলো মিলিয়ে মোট ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। বুধবার এক নৈশভোজের মধ্যদিয়ে মন্ত্রীদের সম্মেলন শুরু হয়। এবার জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে: এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যত। 

ড. মোমেন সন্ত্রাসবাদকে বিশে^র অনত্যম প্রধান সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি বিশ^শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বড়ো হুমকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন এবং বাংলাদেশ সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দেবো না। আমাদের মাটি ব্যবহার করে কোনো দেশের ক্ষতি কাউকে করতে দেবো না। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ভারতে, বিশেষ করে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তি বিরাজ করছে। উন্নয়নের ধারা জোরদার হয়েছে। সম্পাদনা: এল আর বাদল